কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার নাহিদা সোবহানের বিরুদ্ধে কানাডার টরোন্টোতে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় কেক কেটে পার্টি উদযাপন করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি কানাডার টরোন্টোতে আওয়ামী লীগের সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশির ভাইয়ের বাসায় এই পার্টির আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে নাহিদা সোবহানের স্বামী কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় নাহিদা সোবহান তার স্বামী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কেক কাটছেন।
এ পার্টিতে আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি অপু উকিল ও অসীম কুমার উকিল এর সন্তান শুদ্ধ উকিল উপস্থিত ছিলেন বলে একটি সূত্র দাবী করেছে। এর পাশাপাশি টরোন্টো আওয়ামীলীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে বিগত আওয়ামী সরকারের পতনের পর অপু উকিল ও অসীম কুমার উকিল পালিয়ে ভারতে চলে গেলেও ছেলে শুদ্ধ উকিলের মাধ্যমে তাদের অবৈধ অর্থ কানাডায় পাচার করেছেন।
এই ঘটনার ফলে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
টরেন্টো প্রবাসী বাংলাদেশি শরীফুল রুকন বলেন 'নাহিদা সোবহান এখনো গোপনে সাবেক আওয়ামী সরকারের নেতাদের সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছেন যা একজন রাষ্ট্রদূতের নীতির বরখেলাপ। তিনি দেশ থেকে লুট করে পালিয়ে আসা আওয়ামী নেতাদের পুনর্বাসন করতে সহায়তা করছেন। কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীরা নাহিদা সোবহানকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাখান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো তাকে বহাল তবিয়তে কানাডাতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাখাতে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।'
প্রসঙ্গত, নাহিদা সোবহান জেনেভায় ৯ বছরের পোস্টিংয়ের সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। নাহিদা সোবহান দীর্ঘ সময় জাতিসংঘ অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে গুম, খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। জর্ডানে পোস্টিং থাকাকালীন, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করে অসংখ্য বাংলাদেশি শ্রমিককে জেলে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে।
নাহিদা সোবহানের বাবা ডাঃ আবদুস সোবহান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। নাহিদা সোবহানে ২০২২ সাল থেকে নিজের নামের আগে শেখ ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন এবং তার বাবার সাথে শেখ মুজিবের ছবি খবরের কাগজেও ছাপিয়েছিলেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা ২০২৩ সালে কাতারে সরকারি সফরে গিয়েছিলেন। সেসময় নাহিদা সোবহান ছিলেন জর্ডানের রাষ্ট্রদূত। তা সত্বেও তিনি প্রটোকল ভেঙে কাতারে গিয়ে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান।