
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, বেশ কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী ভর্তি একটি নৌযান আন্দামান সাগরে আটকা পরেছে। এসব রোহিঙ্গাকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌযানটিতে কতোজন শরণার্থী রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা বলছেন, নৌকাটির সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, নৌযানটিতে আটকে পড়া শরণার্থীদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং তারা মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরো কয়েকজন প্রাণ হারাতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
নৌযানটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই খাবার এবং পানি শেষ হয়ে গেছে। সপ্তাহ খানেক আগে নৌযানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তবে নৌযানটির অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সংস্থাটি।
এ বিষয়ে ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্টাবারফিল্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সর্বশেষ সোমবার ভোরের দিকে ওই নৌযানটির সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। নৌযানে থাকা শরণার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার।
তবে আন্দামান সাগরে নৌযানটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের সাথে যোগাযোগ করা না হলেও ওই এলাকার পরিচালিত সব নৌ-কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সেই সাথে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলসীমায় নৌযানটিকে খুঁজতে ও পাওয়া গেলে তাদের উদ্ধার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার কোস্ট গার্ডের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছে যে, এ ধরণের কোনো ঘটনার কথা তারা এখনো জানেন না।
১০ দিন আগে টেকনাফ থেকে কোনো নৌযান সাগরে যাত্রা করার তথ্য জানা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও জানিয়েছেন যে, এ ধরণের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, শরণার্থী এবং অভিবাসীদের ঝুঁকিপূর্ণ এই সাগর যাত্রা অব্যাহত থাকার বিষয়টি অনুসন্ধান করে তাদের উদ্ধার এবং ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ও আঞ্চলিক সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি হয়ে পড়েছে। খবর: বিবিবি বাংলা।