
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর গার্মেন্টস শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার এক দফা প্রণোদনা দিয়েছে।
বৈশ্বিক এই মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ আসতে শুরু করেছে।
এজন্য আবারো গার্মেন্ট শিল্পকে প্রণোদনা দেয়ার কথা সরকার ভাবছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাতে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। পরে শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর অর্থনৈতিক আঘাত থেকে শ্রমিকদের বাঁচাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রপ্তানি খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য তিনি এই ঘোষণা দেন৷ প্রণোদনার সেই অর্থ পেয়ে শ্রমিকদের বেতনে ব্যয় করেন পোশাক মালিকরা।
গার্মেন্টস শিল্প বাঁচাতে আবার প্রণোদনার ইঙ্গিত দিয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার এই সময়ে গার্মেন্ট সেক্টরে ব্যবসায়ীদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে।
এতে গার্মেন্টস মালিকরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। সরকারি প্রণোদনা পেয়ে গার্মেন্টস সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন এই সেক্টরের পুরোদমে কাজ চলছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গার্মেন্টস ব্যবসার সঙ্গে আরও অনেক ছোট-বড় শিল্প জড়িত। এই সেক্টর ক্ষতির মধ্যে পড়লে ওই সব শিল্পও ক্ষতির মধ্যে পড়ে।
তাই করোনার দ্বিতীয় ধাপেও যদি গার্মেন্টস সেক্টরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে সরকার পুনরায় তাদের সহযোগিতা করবে।
কারণ এই সেক্টরে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। তাদের জীবন-জীবিকা এই শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।’
পাটমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হবে। এই পাটকলগুলো অব্যাহত লোকসান দিচ্ছে।
প্রতি বছরই এই পাটকলগুলো সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি পাটকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডক্যাশ দিয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’