
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে তা নির্বাচন বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা সঠিক নয়।
তিনি বলেন, দেশ একটি সুন্দর নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন যখন সিডিউল ঘোষণা করেছে, মানুষ যখন একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে, সেই সময়ে এটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমরা মনে করি নাশকতা তৈরি করে, ধূম্রজাল সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের একটা অপচেষ্টা এটা। পুলিশের ওপর হঠাৎ আক্রমণ সেটাই মনে করিয়ে দেয়।’
এ ঘটনাটা অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবাই যখন নির্বাচনের জন্য উন্মুখ তখনই এ ঘটনা ঘটলো। স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে এটা উদ্দেশ্যমূলক, এটা নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র। তবে এ স্বড়যন্ত্র কোনো কাজে আসবে না।
এ ঘটনায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৩ পুলিশ ও তিন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পুলিশের দুটি নতুন গাড়ি তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূলত নয়া পল্টনে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও মেজর আকতার আসছিলেন মনোনয়ন পেপার সাবমিট করতে। এ সময়ে উত্তেজনা দেখা দেয়, উত্তেজনার এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি।
নির্বাচনের আগে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ তৈরি আছে বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি জোট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সময় একটা লিস্টও দিয়েছেন। সেই লিস্টটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি যদি তাদের কথার সত্যতা আমরা পাই তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আমরা অলরেডি কাজ শুরু করেছি।