
ভারতের কর্ণাটকের পেজাওয়ার মঠের গুরু বিশ্বপ্রসন্ন তীর্থ স্বামীজি বলেছেন, জমি কেনার পর মন্দিরগুলোকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হলে তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘কিছু কারণে’ অতীতে অনেক মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এই ধর্মগুরু বলেন, যদি একটি মন্দির কেনার পরে রূপান্তরিত করা হয়, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে যদি কোনো উপাসনালয়কে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়, তাহলে সেটিকে পুনর্নির্মাণ করা উচিত। এটি শুধু মন্দিরের ক্ষেত্রেই নয়, সব উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সবার উচিত আদালতের নির্দেশনা মান্য করা। যদি আদালত বলে একটি মন্দির হিন্দুদের, তাহলে তা মুসলমানদের ফিরিয়ে দেয়া উচিত এবং যদি এটি একটি মুসলিম দরগা হয়, তবে এটি মুসলমানদের ফিরিয়ে দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, সেসব উপাসনালয় জয় করা হয়েছে এবং রূপান্তর করা হয়েছে সেগুলোর মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া দরকার। বিশ্বপ্রসন্ন বলেন, সংবিধান, সরকার ও আদালত জনগণের এবং তাই তাদের নির্দেশনা ও সংবিধান মেনে চলা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। তিনি বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের দ্বারা আদালতের সিদ্ধান্তকে ব্যর্থ হিসেবে দেখানো উচিত নয়। এর পরিবর্তে তাদের উচিত এটিকে একটি কর্তব্য হিসেবে গ্রহণ করা এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করা।
তিনি লাউডস্পিকার ব্যবহারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসরণ করার জন্য জনগণকেও আহ্বান জানান। বিশ্বপ্রসন্ন বলেন, সরকারও নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে। এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত। মানুষ যদি দেশের শাসন মেনে চলে তবেই সমাজে সম্প্রীতি সম্ভব।