বিশ্বব্যাপী যা কিছু আছে সবই চলছে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে। এটা মহান আল্লাহ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। জগৎ সৃষ্টি করে তিনি প্রতিটি বস্তুর জন্যই নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। আর সমগ্র সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হচ্ছে মানুষ। এই মানবজাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে একমাত্র তাঁরই দাসত্ব করার জন্য।
পাঠকদের জন্য আমাদের আজকের বিষয় দোয়া কবুলের সর্বোত্তম সময়। কারণ ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু সমস্যা দ্বারা জর্জরিত। নিম্নে দোয়া কবুলের উত্তম সময় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
রাতের ইবাদাত ও দোয়া : রাতের ইবাদত ও দোয়া আল্লাহর কাছে অনেক মর্যাদা ও সম্মানের। আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দিয়ে এ সময়ে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে দোয়া আল্লাহ তাআলা ফেরত দেন না। বান্দার সব দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন।
এ বিষয়ে রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করেন। আর যদি ওই ব্যক্তি ওজু করে এবং নামাজ আদায় করে তবে সে নামাজও কবুল করা হয়। (বুখারি, মিশকাত)
দোয়াটি হলো : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর। সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। তাঁর জন্যই সকল রাজত্ব ও তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা এবং তিনিই সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। মহাপবিত্র আল্লাহ। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোনো ক্ষমতা নেই কোনো শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’।
অতঃপর বলবে : ‘রাব্বিগফিরলি’ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি রাতের ইবাদাত করার তাওফীক দিন। আমীন।