
জেট ফুয়েলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজের জ্বালানি পণ্যটির নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫ টাকা। আর আন্তর্জাতিক রুটে ধার্য করা হয়েছে ৯৬ সেন্ট।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এ দর ঘোষণা করেছে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) থেকে তা কার্যকর হবে।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়। অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে ধরা হয় ১৩০ টাকা। আর আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ১ ডলার ঠিক করা হয়।
এবার জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা কমলো। তবে একে পর্যাপ্ত বলছে না দেশি এয়ারলাইনস। প্রতিদিন উড়োজাহাজগুলোর প্রায় ৯ হাজার ব্যারেল জেট ফুয়েল দরকার হয়। সেই হিসাবে খুব বেশি সাশ্রয় হবে না।
সাধারণত একটি ফ্লাইটে যে ব্যয়, সেটার ৪০ শতাংশই মূলত হয় জ্বালানির পেছনে। তাই এর দাম উঠা-নামা করলে সরাসরি প্রভাব পড়ে ফ্লাইটের খরচে। শেষ পর্যন্ত যার বোঝা চাপে যাত্রীদের ঘাড়ে।
উড়োজাহাজের জ্বালানি বাংলাদেশ নিজে উৎপাদন করে না। এটি আমদানি করে বিপিসি। আর তা এয়ারলাইন্সগুলোতে সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল লিমিটেড।
সবশেষ জুলাইয়ে জেট ফুয়েলের দর প্রতি লিটারে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। জুনে ৫ টাকা বাড়ানো হয়। লিটারে দাম ধার্য করা হয় ১১১ টাকা। মে মাসে ৬ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। লিটারপ্রতি দর ঠিক করা হয় ১০৬ টাকা। অবশ্য গত বছর থেকেই ক্রমাগত বাড়ছিল জেট ফুয়েলের দাম।
জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল বলছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৫৫ টাকা। মার্চে তা বেড়ে হয় ৬০ টাকা। এপ্রিলে সেটা ছিল ৬১ টাকা। মে’তে দাম ১ টাকা কমে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, জেট ফুয়েলের দাম জুনে ৬৩, জুলাইয়ে ৬৬, আগস্টে ৬৭, অক্টোবরে ৭০ এবং নভেম্বরে ৭৭ টাকায় পৌঁছে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ টাকা করে কমে।
তারা আরও জানায়, তবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ৭ টাকা করে বাড়ে। সেসময় লিটারপ্রতি মূল্য দাঁড়ায় ৮৭ টাকা। এপ্রিলে বাড়ানো হয় ১৩ টাকা। ফলে দাম হয় প্রতি লিটার ১০০ টাকা।