বিশ্বের দেশে দেশে গোপন পুলিশ স্টেশন স্থাপন করছে চীন। এখন পর্যন্ত ৫ মহাদেশের ২১ দেশের ২৫ শহরে ৫৪টি পুলিশ স্টেশন স্থাপন করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
চীনে আবারও ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিস্ট পার্টি। এই সরকার বিরোধী হাজার হাজার লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মূলত তাদের নজরদারি করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মতো শিল্পোন্নত ও ধনী দেশে পুলিশ স্টেশন স্থাপন করেছে চীন। পাশাপাশি নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়ার মতো সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন দরিদ্র দেশেও তা স্থাপন করা হয়েছে।
কেবল চীন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা গোপন এসব স্টেশনের তথ্য জানেন। এছাড়া অন্য কেউ সেভাবে এ ব্যাপারে অবগত নয়। শনিবার (১২ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটি (আইএফএফআরএস) এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
সাধারণত, মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে আইএফএফআরএস। স্প্যানিশ সিভিল রাইটস গ্রুপের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, এসব গোপন পুলিশ স্টেশনের সদরদপ্তর চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের রাজধানী ফুঝৌ এবং ঝেজিয়াং প্রদেশের কিংটিয়ান শহরে। এই দুটি দপ্তর থেকেই সেগুলোতে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) নীতির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারী প্রবাসীদের নজরদারির আওতায় আনতে কাজ করছে সেসব গোপন পুলিশ স্টেশন। কোনো কোনো সময় হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি প্রবাসী চীনাদের দেশে ফিরে যেতে রাজি করা হচ্ছে।
গোপন পুলিশ স্টেশন থাকা কয়েকটি দেশের চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইএফএফআরএস। তবে কোনো দূতাবাসই বিষয়টি সরাসরি উড়িয়ে দেয়নি। আবার স্পষ্টভাবে স্বীকারও করেনি।
কানাডার চীনা দূতাবাস জানিয়েছে, দেশটিতে বসবাসরত চীনা নাগরিকদের কূটনৈতিক ও দাপ্তরিক বিভিন্ন সুবিধা দিতেই পুলিশ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সেই কার্যক্রম সম্পাদন করছে দেশটি। ফলে সেসব দেশ থেকে গোপন তথ্য চীনে পাচারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে তারা।