আগামী বছর ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit)। সম্প্রতি বুধবার (নভেম্বর ১৬) আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সম্মেলনের ভার ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হল।
এদিন একই সাথে ঘোষিত হল পরবর্তী জি-২০ সম্মেলনের থিম। নতুন থিম হচ্ছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ এর অর্থ ‘এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ।'
আগামী জি-২০ সামিটের সভাপতি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে এই সভাপতিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো (Joko Widodo)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন ‘সভাপতিত্ব পাওয়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য গর্বের বিষয়। জি২০ সামিটকে বিশ্বজনীন কল্যাণকর করে তুলতে গোটা দেশের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা হবে। আর তা করতে ভারতের হাতিয়ার হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি’।
তিনি আরও বলেন ‘ভারতের জি-২০ সভাপতিত্ব হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাকাঙ্খী, সিদ্ধান্তমূলক এবং কর্মমুখী। ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বের লক্ষ্য হবে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে গোটা বিশ্বের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া’।
এছাড়া, মহিলা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নকে জি-২০ গোষ্ঠীর অন্যতম মানদণ্ড হিসাবে স্থির করার কথাও বালির সম্মেলন শেষে বলেন মোদী।
উল্লেখ্য, ডিজিটাল পরিবর্তন এই যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। গত এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার সেই লড়াইকে আরও জোরদার করবে এই নিয়েও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন, ভারত জি-২০ সম্মেলনের ফলাফল নথির খসড়া তৈরিতে গঠনমূলকভাবে অবদান রেখেছে।
বিশ্বের বড় অর্থনীতির নিরিক্ষে একেবারে প্রথম সারিতে থাকা দেশগুলির মধ্যে চিনের শি জিনপিং, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এ ছাড়াও ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
এদিন সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা তামান হুতান রায়া নুগুরা রাই ম্যানগ্রোভ অরণ্য পরিদর্শন করে নতুন ম্যানগ্রোভ গাছের চারা রোপণ করেন।