চীন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। অগ্নি-৫ নামে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এ মিসাইল ৫ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। যা চীনের রাজধানী বেইজিং পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিকে, কয়েকদিন আগেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলার তথ্য মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল চীনা সেনারা। তখনই দুই দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুই পক্ষে একাধিক সেনা আহত হয়। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও তুঙ্গে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে অগ্নি-৫-এর পরীক্ষা চালায় ভারত। প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সামরিক ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি কতটা কার্যকর সেটা পরখ করতেই এ পরীক্ষা চালানো হয়। আর এতে পুরোপুরি সফল হয়েছে ভারত। আরও বলা হয়েছে, অগ্নি ৫-এর পাল্লা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো সম্ভব। প্রয়োজনে সেটাও করবে বলে জানিয়েছে ভারত।
অগ্নি ৫এর সিরিজে সব থেকে এগিয়ে থাকা মিসাইলগুলোর মধ্যে অন্যতম অগ্নি-৫। ৫ হাজার ৪০০ কিমি দূরের শত্রুঘাঁটিও উড়িয়ে দিতে সক্ষম এই মিসাইল। ভারতের অস্ত্রাগারে অগ্নির যে সিরিজ রয়েছে সেটার মধ্যে পাল্লার দিক থেকে দেখলে অগ্নি ১ মিসাইল ৭০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে পারে। অগ্নি-২ যেতে পারে ২০০০ কিমি দূরে। অগ্নি-৩ ও অগ্নি-৪ মিসাইল অন্তত ৩৫০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।
টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ধ্যার আকাশে আচমকা অদ্ভুত আলো দেখা যায়। সেই আলো ঘিরেই সৃষ্টি হয় রহস্য। সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহল দেখা দেয়। এ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, সন্ধ্যায় ওড়িশার চাঁদিপুর আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে ওই মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়।
চাঁদিপুর থেকে বাঁকুড়া কাছাকাছি হওয়ায় সন্ধ্যার আকাশে সেই আলো অনেকটা স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। এই ধরনের মিসাইল এর আগে কখনও রাতে পরীক্ষা করা হয়। এবারই প্রথম। শুধু অগ্নি-৫ নয়, অগ্নি-৬ এর মতো আরও দূরপাল্লার মিসাইল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। যার পাল্লা হতে পারে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।