ফুটবলেরই আরেক সংস্করণ ফুটসাল বিশ্বকাপের ফাইনালে রোববার (৩ অক্টোবর) রাতে মুখোমুখি হচ্ছে আর্জেন্টিনা-পর্তুগাল। বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় লিথুয়ানিয়ার জালগিরিস এরেনায় খেলাটি শুরু হবে। ২০১৬ সালের ফিফা ফুটসাল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এবার তাদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা।
এর আগে প্রতিযোগিতাটির সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে, কাজাখস্তানের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় দিয়ে ফাইনালের টিকেট পায় পর্তুগাল।
আর্জেন্টিনা এর আগে শিরোপা জিতলেও এখনো শিরোপার স্বাদ পায়নি পর্তুগাল। যদিও ফিফা ফুটসাল র্যাংকিংয়ে কাছাকাছি এ দুই দল। সবশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১৬৯৮ রেটিং নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা। তাদের ঠিক পরেই অবস্থান পর্তুগালের।
এদিকে, আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা জিততে মুখিয়ে পর্তুগাল। দলটির তারকা খেলোয়াড় হোয়াও ম্যাতোসও জানালেন নিজেদের সম্ভাবনার কথা। তিনি বলেন, শিরোপা জিততে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দেবেন তারা।
ফাইনাল লড়াইয়ে নামার আগে ফিফা ডট কমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্ভাবনা ও প্রতিপক্ষ হিসেবে আর্জেন্টিনার ব্যাপারে কথা বলেন ম্যাতোস। পর্তুগালের এ ডিফেন্ডার বলেন, ‘টুর্নামেন্টটির এ পর্যন্ত আসতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। জার্নিটা কঠিন হলেও এখন ভাবতেই ভালো লাগছে যে, আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে আছি।’
হোয়াও ম্যাতোস বলেন, ‘শিরোপা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি। বিশ্বকাপ ছাড়া সকল বড় শিরোপাই জিতেছি আমি। শিরোপা জিততে পারলে এটা হবে আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত হবে। আমি নিশ্চিত বাকিরাও একই কথা বলবে।’
আর্জেন্টিনা দলের প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনা অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল। প্রতিযোগিতার কথা বললে তারা বিশ্বের অন্য যে কোনো দলের চেয়ে ভিন্ন পর্যায়ে আছে। আর্জেন্টিনাকে হারানো সত্যিই অনেক কঠিন। তাদেরকে খারাপ খেলতে দেখা দুষ্কর একটি বিষয়। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে তারা এতো সাফল্য পেয়েছে, এ কারণেই তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’
এদিকে, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল ব্রাজিল ও কাজাখাস্তান।
উল্লেখ্য, ‘ফুটসাল' ফুটবলের একটা ঘরোয়া মাধ্যম। ইদানিং এই খেলাটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এমনকি ফুটসাল বিশ্বকাপও আয়োজিত হচ্ছে নিয়মিত। ফুটবলের এই ফরম্যাটে প্রতি দলে পাঁচজন করে খেলোয়াড় থাকেন। থাকেন একজন গোলরক্ষক। সর্বোচ্চ ১২জন পর্যন্ত খেলোয়াড় ব্যবহার করা যায় এই খেলায়। যত খুশি তত বদলি করা যায় খেলোয়াড়।
ফুটসালের সঙ্গে ফুটবলের আরেকটা বড় পার্থক্য হচ্ছে- মাঠের আকার। ফুটবল মাঠের চেয়ে স্বভাবতই দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে অনেক ছোট হয় ফুটসালের মাঠ।