
মিসরের কায়রোর দক্ষিণাঞ্চলের সাকারা সমাধিক্ষেত্রের একটি কবরের কফিনের ভেতর থেকে সোনায় মোড়ানো একটি মানুষের মমির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, কফিনটি ৪ হাজার ৩০০ বছর পর প্রথমবারের মতো খোলা হয়েছে। খবর: বিবিসি।
যে ব্যক্তির মমি উদ্ধার হয়েছে, তার নাম হেকাশেপেস। ধারণা করা হচ্ছে, মিসরে এ পর্যন্ত রাজপরিবারের বাইরে যতোগুলো মমি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এ মমি সবচেয়ে প্রাচীন ও পরিপূর্ণ। প্রাচীন ওই সমাধিস্থলে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আরো তিনটি কবরে মমি পাওয়া গেছে।
প্রাচীন এ সমাধিস্থলে সবচেয়ে বড় যে মমি পাওয়া গেছে, তা খুনুমদজেদেফ নামের এক পুরোহিতের। আরেকটি মমি মেরি নামের এক ব্যক্তির। তিনি ছিলেন রাজপ্রাসাদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তার উপাধি ছিলো ‘সিক্রেট কিপার’। এ উপাধির কারণে তিনি বিশেষ ধর্মীয় আচারগুলো পরিচালনা করতে পারতেন।
ধারণা করা হচ্ছে, অপর কবরটিতে ফেতেক নামের এক বিচারপতি ও লেখককে সমাহিত করা হয়েছিলো। ওই কবরে একটি ভাস্কর্যও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সমাধি এলাকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য এটি।
কবরগুলোয় মাটির তৈরি পাত্রসহ আরো বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেছে।
মিসরের সাবেক পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস বলেন, যেসব জিনিস পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ শতাব্দী থেকে শুরু করে খ্রিষ্টপূর্ব ২২ শতাব্দী পর্যন্ত পুরোনো।
প্রত্নতাত্ত্বিক আলি আবু দেশিশ বলেন, এ আবিষ্কারের ঘটনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব জিনিস বিভিন্ন সময়ের রাজা এবং তাদের আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ সম্পর্কে ধারণা দেয়।