প্রতারণা করা আরও ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। টাকা নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়া ও টাকা ফেরত না দেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে রাখা হয়েছে নজরদারিতে। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ও সিআইডির অনুসন্ধানে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। ৬০টির মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে।
এর আগে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সরকারি অনুমোদনহীন ও লাইসেন্সবিহীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’-এর হেড অব অপারেশন মো. নজরুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের ৬ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান দুটি কম দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেক্ট্রিক ফ্যান বিক্রির বিজ্ঞাপন ফেসবুক ও অনলাইনের প্রচার করে। বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ তাদের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য আগ্রহ দেখায়। তারা অর্ডার দেওয়ার একমাসের মধ্যে পণ্য দেবেন বলে ক্রেতাদের আশ্বাস দেন। তবে অনেকেই টাকা দিয়ে ৩০ দিন ও ৫০ দিনের মধ্যেও পণ্য পাননি। মাসের পর মাস তাদের ঘোরানো হয়। এরপর কয়েকজন ক্রেতা মিলে তাদের অফিসে গেলে তারা তাদের কয়েকটি চেক দেন, তবে ক্রেতারা ব্যাংকে গিয়ে দেখেন ওই অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নেই। এরপর ভুক্তোভোগীরা মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, বিতর্কিত ই-কমার্সের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে সারাদেশে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইতোমধ্যে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্চ, ধামাকা শপিং, এসপিসি, রিংআইডিসহ বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষকর্তাদের গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।