
জরিপের বরাত দিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ৫২ শতাংশ আসে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে। আর অনানুষ্ঠানিকভাবে বা হুন্ডির মাধ্যমে আসে প্রায় ৪৮ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত ‘অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন’-এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণেই মালয়েশিয়া যেতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা লাগছে। এ ত্রুটি মালয়েশিয়ার। এখানে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির কোনো দোষ নেই।’ মালয়েশিয়ায় যেতে অভিবাসন ব্যয় ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া বলছে– বিনা খরচে (জিরো মাইগ্রেশন কস্ট)। তাহলে এখন শুনতে পাচ্ছি ৪ লাখ, সাড়ে ৪ লাখ টাকা– কেন? কারণ পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে। আর এ পদ্ধতির মধ্যে আমাদের সব রিক্রুটিং এজেন্ট অন্তর্ভুক্ত।’
অভিবাসন ব্যয় কমাতে বাংলাদেশ কী ধরনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন চাচ্ছে– প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “যে পদ্ধতি আছে, সেটির সঙ্গে মালয়েশিয়ার ইন্টারলিঙ্ক চাই। এটি প্রস্তাবের পর্যায়ে আছে; এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বশেষ তারা জানিয়েছে, আমাদের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তারা লিঙ্ক করবে। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে একবার লিঙ্ক হয়ে গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারব– কোথায় কী গণ্ডগোল হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্য তৈরি করেছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমরা নিয়মিত সুশৃঙ্খল অভিবাসন চাই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে গন্তব্য দেশগুলোর ঘাটতি লক্ষ্য করি। এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক। এসব দেশ সুবিধা নিচ্ছে। অনেক দেশ আছে, যারা আমাদের মানুষদের বিদেশ যাওয়ার সহজাত প্রবণতাকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে।’
এর আগে সম্মিলনে দেশের অভিবাসন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় চার ব্যক্তি, দুটি পরিবার ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডকে সম্মাননা দেয় রামরু। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক অভিবাস সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশ মিশনপ্রধান আবদুসাত্তর এসয়েভ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তাসনিম সিদ্দিকী।