শখের বশে শরীরে ৪৫৩টি ছিদ্র করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন জার্মান নাগরিক রল্ফ বুখহলজের। তিনি এখন পর্যন্ত ৫১৬ বার তার দেহে নানারকম পরিবর্তন করিয়েছেন। তার নিজের চেহারা নিয়ে কখনোই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখতেই এমনটাই করেছেন।
তিনি দুটি শিংও যুক্ত করেছেন তার মাথায়! জার্মানির ডর্টমুন্ডে বাস করেন রল্ফ বুখহলজের। ২০১০ সালে তিনি প্রথম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান, যা এখনো তার দখলেই রয়েছে। কেননা দিন দিন তার শরীরে ছিদ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছেন রল্ফ।
৪৫৩টি ছিদ্রের ১৫৮টি তার ঠোঁটের চারপাশে রয়েছে। তার ডান কানে ১৬টি, বাম কানে ১৫টি, ২৫টি ভ্রুতে, ৮টি নাকে, ঠোঁটের ভেতরে ও চারপাশে রয়েছে মোট ৯৪টি পিয়ার্স। বাদ যায়নি জিহ্বা এবং যৌনাঙ্গও। জিহ্বা দুটি, শরীরের বাকি অংশে ৮টি, স্তনে তিনটি, নাভিতে চারটি এবং যৌনাঙ্গে ২৭৮টি পিয়ার্সিং করিয়েছেন রল্ফ।
জার্মানির বাসিন্দা রল্ফ একটি টেলিকম সংস্থায় কর্মরত। ৪০ বছর বয়সে প্রথম ট্যাটু করিয়েছিলেন রল্ফ। সেই সময়ই প্রথম পিয়ার্সিং করান তিনি। এরপর পেরিয়েছে ২০ বছর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নাক, ঠোঁট, ভ্রু, কপাল সমস্ত জায়গাতেই একাধিক পিয়ার্সিং করিয়েছেন। দেহে তৈরি করেছেন অজস্র ট্যাটু। তৈরি করেছেন দুটো ছোট শিং।
জানা গিয়েছে, সর্বাধিকবার দেহে ছিদ্র অর্থাৎ পিয়ার্সিং করানোর জন্য ২০১০ সালে গিনেসের তালিকায় নাম ওঠে রল্ফের। পরে ২০১৪ সালে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে সাধারণ মানুষের নজরে পড়ে যান তিনি।
দেহে এত কারুকার্য, এত পরিবর্তনের পর কেমন লাগে এমন প্রশ্ন প্রায় সময়ই করেন অনেকে। জবাবে রল্ফ জানান, তার অন্তরের এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি। তিনি ৪০ বছর আগে যেমন ছিলেন, এখনও ঠিক তেমনটাই আছেন। সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড