খালি গলায় গান করেছিলেন রানাঘাটের রানু মণ্ডল। সমাজসেবী অতীন্দ্র রায় সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতেই তা হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়। রানাঘাটের ৬ নম্বর প্লাটফর্মের রানুর কপাল খোলে। সোজা মুম্বাই স্টুডিওতে পাড়ি দিতে হয়েছিলো তাকে। গলা শুনে ডাক পড়েছিলো হিমেশ রেশমিয়ার কাছ থেকেও। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
যখন তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে সেইসময় হিমেশ রেশমিয়া সঙ্গে ডুয়েটে ‘তেরি মেরি কাহানি’ গানটিতে কণ্ঠ মেলান রানু মণ্ডল। দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিলো সেই গান। যে হিমেশ রেশমিয়া তাকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছিলেন তার নামেই এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রানু মণ্ডল। এর আগেও অবশ্য নানা বেফাঁস মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রানুকে প্রশ্ন করা হয়, এখননো হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে তার কথা হয় কিনা? সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলে বসেন, হিমেশ রেশমিয়াকে তো ওই দিন দেখেছিলাম ট্রাকে করে বালি নিয়ে আসতে। ছোট ট্রাক যেগুলোকে বলে টেম্পো।
এরপর ফের তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, হিমেশ রেশমিয়াকে তার জানালার পেছনে বালি ফেলেতে দেখেছেন তিনি।
রানুর এই কথা শুনে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ওঠে হাসির রোল, ট্রোল এবং মিমের বন্যা। মজাদার মন্তব্যে ভরে গেছে কমেন্ট বক্স। কেউ লিখেছেন ‘আমিতো জানি তুমি কী’, আবার কারও মন্তব্য, ‘নাম যশ খ্যাতির থেকেও ওনার দরকার ছিলো মানসিক চিকিৎসার’।
যদিও রানু মণ্ডলকে নিয়ে সরব একাংশের নেটিজেন। ওনার মতো একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে নিয়ে এহেন কুরুচিকর ট্রোলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তারা। তাদের মন্তব্য, ওনার কথাবার্তা শুনে বোঝা যায় উনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। এমন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে এভাবে বা হাসির পাত্র বানানো কি ঠিক?